শ্যালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দণ্ডিত ভগ্নিপতি ১৪ বছর পর গ্রেফতার

বরিশালে শ্যালিকাকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ভগ্নিপতি আরিফ হোসেন সিকদারকে (৫০) রায় ঘোষণার ১৪ বছর পরে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাভার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

দণ্ডিত আরিফ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ পৌর এলাকার অম্বিকাপুরের কালাম সিকদারের ছেলে।

বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ন কবির জানান, স্ত্রীর মামাতো বোনকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন আরিফ।

এতে মামাতো বোন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তখন বিয়ের জন্য চাপ দিলে অস্বীকার করায় আরিফকে আসামি করে ২০০৫ সালে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে শ্যালিকা।

মামলার পর আরিফ পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোনো হদিস ছিল না।

বেঞ্চ সহকারী বলেন, আসামি আরিফের অনুপস্থিতিতে ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। সাজা পরোয়ানায় আরিফকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ইয়ারব হোসেন।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সাভার নবীনগর জিলানী বাজার এলাকা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে নিজের বাবার নাম পরিবর্তন করে গভীর নলকূপের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতো আরিফ।

এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, আরিফের বাবার নাম কালাম সিকদার, কিন্তু পরিবর্তন করে আলী সিকদার লিখে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে। দীর্ঘ ১৮ বছরে পলাতক জীবনে কখনো মেহেন্দিগঞ্জে ফিরে আসেনি। শ্যালিকার গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান বর্তমানে নবম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে।

সন্তানের স্বীকৃতি না পাওয়া শুভ বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এসেছিল। শুভ বলে, জীবনে প্রথমবার বাবাকে দেখে ভালো লাগছে। তার মায়ের বিয়ে হওয়ায় বর্তমানে নানীর কাছে বাস করছে সে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *