নিউজ ডেস্কঃ
কক্সবাজারের আদালত চত্বর থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের কথিত অভিযোগে দায়ের করা মিথ্যা মামলার বাদী (সংবাদদাতা) রুনা আক্তারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মুসলেম উদ্দীন এ রায় দেন। সেই সঙ্গে আদালত তাকে আরো ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেছেন।
বুধবার (১২ এপ্রিল) এ রায় প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি রুনা আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী বদিউল আলম বলেন- ‘মিথ্যা মামলা দায়ের করে নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করে রেহাই পাওয়া যাবে না, এমন বার্তাই এসেছে রায় থেকে।’ তবে বাদীর আইনজীবী সাহাব উদ্দিন জানান, দণ্ডিত নারী রুনা আক্তারের পক্ষে আপিল করা হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, দণ্ডিত নারী কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা রুনা আক্তার কথিত গণধর্ষণের অভিযোগ তুলে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় গত বছর একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রুনা আক্তারের স্বামী ফিরোজ আহমদ তার ব্যবসায়িক সহযোগী মো. শরীফ কোম্পানি ও নুরুল ইসলাম ও রাসেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। পরে তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। দীর্ঘ সময় কারাবাসের পর আসামিরা জামিনে মুক্তি পান।
এদিকে ওই মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের একজন রাসেল উদ্দিন বাদী হয়ে রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ শুনানির পর বুধবার রায় প্রদান করেন। কথিত গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ভুক্তভোগী মোহাম্মদ শরীফ কোম্পানি বলেন, এই নারীর মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে দীর্ঘ সময় কারাবন্দি থাকতে হয়েছে, একই সঙ্গে আরো একটি মিথ্যা অস্ত্র মামলার আসামি হতে হয়েছে।