পর্তুগালে বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান

পর্তুগালে বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

পর্তুগালে বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দেশটির রাজধানী লিসবনের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে চীন, জাপান, ভারত, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, স্পেন, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন।

স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে পর্তুগিজ সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
পর্তুগাল সরকারের সমতা ও অভিবাসনবিষয়ক সেক্রেটারি ইসাবেল আলমেদা রদ্রিগেজ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও দুটি দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে খুব শিগগিরই আমাদের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। এ লক্ষ্যে আমরা দ্বিপাক্ষিক অনেক বিষয়ে কাজ করছি।

রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান বলেন, পর্তুগালের স্টেট সেক্রেটারি ও শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উপস্থিতি এবং তাদের বক্তব্য আমাদের নতুন সম্পর্কের একটি অগ্রগতি বলা চলে। আমরা আশাবাদী বিভিন্ন বিষয়ে আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি সফল অবস্থানে পৌঁছতে পারব। তিনি বিগত দিনের দ্বিপাক্ষিক অগ্রগতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। বাংলাদেশে পর্তুগালের একটি দূতাবাস স্থাপন বা ভিসা কনস্যুলেট চালু করা নিয়েও দুপক্ষের শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনা হয়। বিষয়টি কবে কার্যকর হবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া না গেলেও এটির প্রয়োজনীয়তার জন্য দুপক্ষ ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, পর্তুগালের সঙ্গে গত এক বছরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অনেক উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। পর্তুগাল ও বাংলাদেশের পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ, সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পর্তুগিজ ইসকলা লুইস কামোইসের (আন্তর্জাতিক কালচার সম্পর্কবিষয়ক প্রতিষ্ঠান) সঙ্গে ভাষা এবং সংস্কৃতির আদান-প্রদান বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

গত বছরের শেষের দিকে দুপক্ষের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ে সফর এবং কিছুদিন আগে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সমঝোতা স্মারক চুক্তি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *