ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে উৎখাত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে নড়াইল শহরে আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গত শনিবার খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগদানের আগে ও পরে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি।
রিজভী বলেন, আসলে শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় নেই। ক্ষমতায় আছে দেশের জনগণ। জনগণ তাকে ত্যাজ্য করেছে। যে কারণে তারা জোর জুলুম চালাচ্ছে।
আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করে তিনি বলেন, আমাদেরকে আরও তেজোদীপ্ত ও শক্তিশালী হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় হামলা সত্ত্বেও খুলনায় বিএপির গণসমাবেশ সফল হয়েছে। এই সমাবেশ বানচাল করার জন্য সরকারের ইশারাতে বাস মালিকরা হরতাল ডাকেন। তারপরও এই সমাবেশ সফল হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ পায়ে হেঁটে, ভ্যানে, ট্রেনে এবং নৌকায় করে সমাবেশস্থলে আসেন। এ সময় খুলনার প্রতিটা সড়কের মোড়ে মোড়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। হামলায় শতশত নেতা-কর্মী বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন। তাই এ সরকারের দুঃশাসন থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবব্ধ হয়ে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে উৎখাত করতে হবে।

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আহত নেতাকর্মীদেরকে দেখতে এসেছি। যারা গত শনিবার খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগদানের আগে ও পরে প্রশাসন এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন এবং জখম হয়েছেন তাদেরকে দেখতে পাঠিয়েছেন।
বুধবার সকালে নড়াইল শহরে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি মনিরুল ইসলামের বাসভবনে মুন্না, ইয়ার আলী, রূপকুমার, মাহমুদ দারোগা, মনির, শায়রুলসহ যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপির আহত নেতাকর্মীদের ডেকে খোঁজখবর নেন এবং তাদেরকে সান্ত্বনা দেন।
এরপর তিনি চুয়াডাঙ্গার সরজগঞ্জে আহত নেতা মাহবুবুর রহমান, তুহিন, সবুজ, সাকিব, নয়নের খোঁজ খবর নেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রথমে যশোরের মনিরামপুর, কেশবপুর, খুলনার ফুলতলা, খালিশপুর ও বাগেরহাটের মোংলায় আহতদের প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে দিনভর তাদের সাথে কথা বলে তাদের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।